suicide attempt by cutting his throat |
দরিদ্র পরিবারের ছেলে সাগর আহমেদ মিলন (২০) ভালবাসেন ধনী পরিবারের মেয়ে
উম্মে শাহিনুর বুলবুলিকে (১৯)। কিন্তু বুলবুলির পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে
না নেয়ায় পালিয়ে বিয়ে করেন তারা।
দীর্ঘদিন পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফেরেন দুজন। এ নিয়ে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর)
বিকেলে ইউপি সদস্যের বাড়িতে সালিশ বেঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠক চলাকালে বুলবুলিকে তার
মা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষোভে একটি ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার
চেষ্টা করেন মিলন।
তার রক্তাক্ত অবস্থা দেখে বুলবুলি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে দুজনকে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মিলন এখন অনেকটাই সুস্থ।
আরও পড়ুনঃ জুয়ায় হেরে ধর্ষণের জন্য স্ত্রীকে বন্ধুর হাতে তুলে দিল স্বামী
ঘটনাটি নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ঘটেছে। মিলন উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের
সাদেকুল ইসলামের ছেলে এবং বুলবুলি সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
তারা
দুজনে সতিহাট কেটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পাস করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিলন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। লেখাপড়ার পাশাপাশি
সেলাই মেশিন, হাউজ ওয়ারিং ও অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন তিনি।
অপরদিকে ধনী পরিবারের সন্তান
বুলবুলি। তাদের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক কোনদিনই মেনে নিতে চাইনি বুলবুলির পরিবার।
তাই এইচএসসি পরীক্ষার শেষ দিন দুজন মিলে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত ১৩
সেপ্টেম্বর বাড়িতে আসেন তারা।
উপজেলার গনেশপুর ইউপি সদস্য স্বপ্না বেগম বলেন, উভয় পরিবারকে আপোষ মীমাংসা
করার জন্য শনিবার বিকেলে আমার বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকের এক পর্যায়ে
মেয়ের মা মেয়েকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই দেখে ক্ষোভে ব্লেড দিয়ে
গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান মিলন। তার এমন অবস্থা দেখে বুলবুলিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, বুলবুলির
পালানোর ঘটনায় তার নানা আবু আহমেদ মাস্টার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বিকেলে
সালিশে আত্মহত্যার চেষ্টার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনায় প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment